ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৩০/০৭/২০২৩ ৭:২৩ পিএম

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণা করে এবং কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা গাজীপুরের টঙ্গীর ঘিঞ্জি এলাকার পরিবর্তে কক্সবাজারে আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে যথাযথ প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে।

নোটিশে ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদের প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, সারাবিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হলো পবিত্র হজ। প্রতিবছর হজের নির্ধারিত সময় ছাড়াও সারাবছর বিশ্বের মুসলিমরা ওমরাহ পালন করেন। হজ ও ওমরাহ থেকে সৌদি আরব বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এক বছরেই সৌদি আরব হজ ও ওমরাহ থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)।

সারাবিশ্বে মুসলমানদের জন্য হজের পর দ্বিতীয় মহাসম্মেলন হলো বিশ্ব ইজতেমা। এছাড়া সারাবছর তাবলিগ কার্যক্রমের নিয়ম আছে। বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যক্রমে বিপুল সংখ্যায় বিদেশি মুসলিম পর্যটককে আকৃষ্ট করে বাংলাদেশে আনতে পারলে বাংলাদেশ প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে এবং বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা, উপমহাদেশীয় ষড়যন্ত্র এবং কিছু ধর্মীয় নেতার পারস্পরিক হিংসাত্মক দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশে তাবলিগের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে বিশ্ব ইজতেমা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে সারাবিশ্বের মুসলিমদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে।

এছাড়া বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ এ অপার সম্ভাবনাময় ধর্মীয় পর্যটনের অর্থনৈতিক সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশ প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং মুসলিম বিশ্বে শক্তিশালী প্রভাব অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। বাংলাদেশের পক্ষে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মতো অবাধ যৌনতা, বিকিনি, অ্যালকোহল, ক্যাসিনোভিত্তিক পর্যটন খাত তৈরি করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ধর্মীয় পর্যটন বাংলাদেশের একটি ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ যদি প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে কমপক্ষে ১০ লাখ বিদেশি মুসলিম পর্যটক বাংলাদেশে আনতে পারে তাহলে এর মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশ কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।

এছাড়া এসব মুসলিম পর্যটক বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করবেন; যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং সারা মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচার, প্রসার ও চাহিদা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়বে। এছাড়া তাবলিগের কার্যক্রম যেহেতু সারাবছর চলমান থাকে তাই বিপুল সংখ্যক বিদেশি মুসলিম পর্যটকের আগমনে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারাবছর উপকৃত হবে।

বাংলাদেশে এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় ধর্মীয় পর্যটনে প্রধান বাধা সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা এবং কিছু ধর্মীয় নেতার হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও মানসিকতা। বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মীয় নেতা ও আলেম ধর্মচর্চার পরিবর্তে রাজনীতিতে বেশি আগ্রহী।

বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মীয় নেতা ও আলেম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার চেয়ে মানুষের কাছ থেকে উপহার, দানবাবদ অর্থ নিতে বেশি আগ্রহী। এছাড়া অধিকাংশ মসজিদের ইমাম মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বক্তৃতা বা বয়ান করার পরিবর্তে দান-খয়রাতের উপকারিতার ব্যাপারে বক্তৃতা বা বয়ান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এভাবে আমাদের অর্থনীতিতে একটি দুষ্টচক্রের আবির্ভাব হয়েছে। অথচ সব নবী-রাসুল নিজস্ব পেশা অবলম্বন করতেন এবং উপার্জন করতেন।

বিশ্বের সব দেশ তাদের পর্যটন সেক্টর সবসময় সব প্রকার রাজনীতি থেকে দূরে রাখে। যেমন ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে সবসময় সংঘাতময় পরিস্থিতি থাকলেও ভারত সরকার সেখানে পর্যটনের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। কাশ্মীরের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য যুদ্ধের প্রস্তুতিতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধের সাঁজোয়াযান নিয়ে কাশ্মীরের শ্রীনগরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। কাশ্মীরে সবসময় যুদ্ধাবস্থা পরিবেশ থাকলেও সেখানে বিদেশি পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারেন।

অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতময় অঞ্চল হলো ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালেমে অবস্থিত আল আকসা মসজিদ। আল আকসা মসজিদ নিয়ে সারাবছর‌ই ইহুদি ও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এত সংঘাত সত্ত্বেও ইসরায়েল সরকার বিদেশি পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয় আল আকসা মসজিদ ভ্রমণে।

প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের সব দেশ তাদের পর্যটনকে সব প্রকার রাজনীতি থেকে দূরে রাখে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশে ধর্মীয় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও এখানে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ঢুকে গেছে। বাংলাদেশে তাবলিগে মাওলানা সাদ ও মাওলানা জোবায়ের নামে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই গ্রুপের সদস্যের মধ্যে বিবাদ ও সংঘর্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাবলিগের কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এবং বিশ্ব ইজতেমা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তাবলিগের ভারতীয় আমির মাওলানা সাদের কিছু ব্যক্তিগত বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশের কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদের কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বাংলাদেশের সংবিধান, ভারতীয় সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির তার মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে একে অপরের মধ্যে মতবিরোধ থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

পাশাপাশি সকল প্রকার সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করা উচিত। বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মীয় নেতা ও আলেম মানুষকে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা শিক্ষা দিলেও নিজেরাই এসব মানেন না। ফলে মাওলানা সাদ ও মাওলানা জোবায়ের নামে দুই গ্রুপের উদ্ভব হয়। এর ফলে বাংলাদেশের এই ধর্মীয় পর্যটন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের বদনাম হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে অবিলম্বে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা আবশ্যক।

তাবলিগকে অবশ্যই সকল প্রকার রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। তাবলিগের মূল কাজ হলো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মের প্রতি আহ্বান করা। এসব কাজ অবমূল্যায়ন করা কোনো সুযোগ নেই । হজরত মূসা (আ.), হজরত ঈসা (আ.), হজরত মোহাম্মদ (স.) সহ সকল নবী-রাসুল মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ধর্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধর্মের প্রতি আহ্বান করাই ছিল সকল নবী-রাসুলের প্রধান কাজ। এটা সম্পূর্ণ পবিত্র কাজ। এখানে রাজনীতির কোনো স্থান নেই। তাই এই তাবলিগের কার্যক্রম সকল প্রকার রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে এবং তাবলিগের ভেতর সকল প্রকার দলাদলি বা গ্রুপিং নিষিদ্ধ করতে হবে। এক বা একাধিক ব্যক্তির বিরোধের কারণে তাবলিগের কার্যক্রমে কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

সৌদি আরবের সরকার যেমন হজ ও ওমরাহকে বিশেষ প্রটেকশন দিয়ে থাকে তেমনি বাংলাদেশ সরকারকে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে বিশেষ প্রটেকশন দিতে হবে কারণ হজের পর‌ই সারাবিশ্বের মুসলিমদের দ্বিতীয় মহাসমাবেশ হলো বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের সরকারকে অবশ্যই বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে সকল প্রকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ রাখতে হবে।

এছাড়া বিশ্ব ইজতেমাকে বিদেশি মুসলিম পর্যটকদের বা মেহমানদের জন্য আকর্ষণীয় ও আরামদায়ক করতে হবে। গাজীপুরের টঙ্গীর ঘিঞ্জি এলাকার পরিবর্তে কক্সবাজারে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশিরা যাতে সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইটে কক্সবাজারে সহজেই যেতে পারে সে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

এছাড়া বছরের যে সময় কক্সবাজারের আবহাওয়া অনুকূলে থাকে সেই সময়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করতে হবে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিদেশি মুসলিম মেহমানরা যাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পট, সমুদ্রসৈকত অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং কেনাকাটা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

বছরের এই নির্দিষ্ট কিছুদিন কক্সবাজারে সকল হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে যাতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি মুসলিম মেহমানরা ভালোভাবে অবস্থান করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য পৃথক তারিখে ইজতেমার সময় নির্ধারণ করতে হবে যাতে বিদেশি মুসলিম মেহমানদের কোনো সমস্যা না হয়। এছাড়া বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বমানের গার্মেন্টস ও বিভিন্ন পণ্য যাতে বিদেশি মুসলিম মেহমানরা ন্যায্য দামে কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

এই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে ধর্মীয় পর্যটন ঘোষণা করতে হবে এবং সকল প্রকার ষড়যন্ত্র, রাজনীতি ও গ্রুপিং থেকে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে রক্ষা করতে হবে এবং অবিলম্বে কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে। সুত্র: ঢাকা মেইল

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে করছেন। এসময় ...

সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের ...

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...

দু'দিনের বার্ষিক আয়োজনে পরিচালক মিশু- ওশান প্যারাডাইসের কর্মীরা নৈতিকতা-সেবা ও কর্মদক্ষতায় প্রসিদ্ধ

কর্মজীবীরাই একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। পর্যটন জোনের তারকা হোটেল গুলোর সুনাম এখানকার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করা ...